কানে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি অস্বস্তি এবং ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। কানে ব্যথা হলে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা অনুসরণ করা যেতে পারে। তবে কানের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিচে কানে ব্যথার সম্ভাব্য কারণ এবং করণীয় সম্পর্কে জানুন-

কানে ব্যথার কারণ:

1. ইনফেকশন (সংক্রমণ): বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে কান ইনফেকশন একটি সাধারণ কারণ। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত ইনফেকশন কানে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে।
2. কানের ময়লা জমে থাকা: কানে ময়লা জমে গেলে বা মোমের আস্তরণ পুরু হয়ে গেলে এটি ব্যথার কারণ হতে পারে।
3. ঠান্ডা লাগা বা ফ্লু: সর্দি, ঠান্ডা বা ফ্লু হলে কানের ভেতরে চাপ পড়ে যা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
4. আঘাত পাওয়া: কানে কোনো প্রকার আঘাত বা ধাক্কা লাগলে ব্যথা হতে পারে।
5. কানের পর্দায় চাপ বা ছিদ্র: অতিরিক্ত শব্দ, উচ্চতার পরিবর্তন বা কানে আঘাতের কারণে কানের পর্দায় চাপ পড়তে পারে।
6. ডেন্টাল সমস্যা: দাঁতের সমস্যা, মাড়ির ইনফেকশন বা মাড়ি থেকে ব্যথা কানে গিয়ে ছড়িয়ে যেতে পারে।

কানে ব্যথা হলে করণীয়:

1. হালকা গরম সেঁক: কানে হালকা গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমতে পারে। একটি পরিষ্কার কাপড় বা তোয়ালে গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে কানের উপর ১০-১৫ মিনিট ধরে রাখুন।
2. ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক ওষুধ: যেমন প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন কানের ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বেশি পরিমাণে ওষুধ সেবন করবেন না।
3. কানে ড্রপ ব্যবহার: কানের ময়লা জমে গেলে বা হালকা সংক্রমণ থাকলে ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। তবে কানে ছিদ্র থাকলে বা ইনফেকশন গুরুতর হলে কোনো ড্রপ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
4. হাইড্রেটেড থাকা: প্রচুর পানি পান করলে শরীরের ভেতরের সংক্রমণ দ্রুত সারতে সহায়তা করে।
5. চুইংগাম চিবানো: বিশেষ করে উড়োজাহাজে ভ্রমণের সময় বা উচ্চতা পরিবর্তনের কারণে কানে চাপ পড়লে চুইংগাম চিবানো বা মুখ খুলে হাই তোলা কানের ভেতরের চাপ সমান করতে পারে।

চিকিৎসকের কাছে কখন যাওয়া উচিত:

• কানে ব্যথা ২-৩ দিনের বেশি স্থায়ী হলে।
• ব্যথার সঙ্গে জ্বর বা বমি ভাব থাকলে।
• কানের ভেতর থেকে পুঁজ বা রক্তক্ষরণ হলে।
• কান থেকে শোনা কমে গেলে।

কানের ব্যথার কারণে জীবনযাত্রায় বড় কোনো প্রভাব পড়লে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কান সম্পর্কে উইকিপিডিয়া কি বলে?

Read More : Those at risk of breast cancer